বাংলাদেশে, ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক, যাদের বার্ষিক আয় নির্দিষ্ট সীমার বেশি, সেইসাথে যারা নির্দিষ্ট পেশাগত কার্যকলাপে জড়িত বা নির্দিষ্ট পরিষেবা খুঁজছেন তাদের জন্য।bdnews24.com
কাদের ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে?
- আপনার বার্ষিক আয় ৩৫০,০০০ টাকা (পুরুষদের জন্য) অথবা ৪০০,০০০ টাকা (মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য) অতিক্রম করলে আপনাকে কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
- আপনার পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো একটিতে করযোগ্য আয় ছিল বা কর প্রদান করেছেন।
- আপনি একটি ফার্মের অংশীদার, একজন শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক, অথবা একটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার-কর্মচারী।
- আপনি যেকোনো ব্যবসা বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপক পদে অধিষ্ঠিত।
- আপনার কোন করযোগ্য আয় না থাকলেও আপনি ২০ লক্ষ টাকার বেশি ঋণের জন্য আবেদন করেন।
- আপনার সিটি কর্পোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন করতে হবে।
- আপনি একটি আমদানি বা রপ্তানি নিবন্ধন শংসাপত্রের জন্য আবেদন করছেন বা নবায়ন করছেন।
ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুবিধা
- কর ছাড়ের যোগ্যতা: রিটার্ন দাখিল করলে আপনি বিনিয়োগের উপর কর ছাড় দাবি করতে পারবেন, যা আপনার করযোগ্য আয় কমাতে পারে।
- আর্থিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস: ঋণ, ট্রেড লাইসেন্স বা অন্যান্য আর্থিক পরিষেবার জন্য আবেদন করার সময় প্রায়শই একটি দাখিল করা ট্যাক্স রিটার্ন প্রয়োজন হয়।
২০২৪/২৫ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত আয়করের হার
২০২৪/২৫ অর্থবছরের জন্য, বাংলাদেশে ব্যক্তিগত আয়করের হার নিম্নরূপ:
- প্রথম ৩৫০,০০০ টাকা: ০%
- পরবর্তী ১০০,০০০ টাকা: ৫%
- পরবর্তী ৪০০,০০০ টাকা: ১০%
- পরবর্তী ৫০০,০০০ টাকা: ১৫%
- পরবর্তী ৫০০,০০০ টাকা: ২০%
দ্রষ্টব্য: করদাতার শ্রেণীর উপর ভিত্তি করে মৌলিক ছাড়ের সীমা পরিবর্তিত হয়:
- ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৪০০,০০০ টাকা
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য ৪৭৫,০০০ টাকা
- গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫০০,০০০ টাকা।
আপনার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয় বরং আর্থিক দিকেও একটি পদক্ষেপ বিভিন্ন পরিষেবার দায়িত্ব এবং অ্যাক্সেস
আইনি সম্মতি: দাখিল করলে আয়কর আইনের সাথে সম্মতি নিশ্চিত হয়, যা আপনাকে জরিমানা এবং আইনি সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।